শেখ হাসিনা দেশকে ভয়  ও আতঙ্কের নগরীতে তৈরি করেছিলেন: রুহুল কবির রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে ভয়  ও আতঙ্কের নগরীতে তৈরি করেছিলেন। বিগত ১৭ বছর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিবারের সাথে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারেনি। নেতাকর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকতেন কখন আবার স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে এবং মামলা দিবে। বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রিয় দেশ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমি যা দিয়েছি ভারত চিরদিন তা মনে রাখবে। শেখ হাসিনা কি দিয়েছে ভারতকে যে ভারত শেখ হাসিনার প্রেমে এতটা বিগলিত। শেখ হাসিনার দুইটি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেছে। তাহলে কোন পার্সপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত? অন্তবর্তীকালীন সরকার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে পাঠানোর আবেদন করলেও ভারত সরকার তাকে না পাঠিয়ে উল্টো ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছে। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে নির্বিঘেœ শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তিনি জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজীবন এদেশের স¤্রাজ্ঞি মহারানী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর এরজন্য তিনি তার মনের মত করে পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়েছিলেন। জনগণ, নির্বাচন ও ভোটের দরকার তার ছিল না। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজেই নির্ধারণ করতো কাকে মেম্বার বানাবে, কাকে চেয়ারম্যান বানাবে, কাকে এমপি বানাবে। তিনি এদেশকে দুর্বৃত্তর দেশ, এক দাজ্জালের দেশ ও এক দস্যুর দেশে পরিণত করেছিল।

তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তাদের পরিণত হয়েছে ভয়াবহ। তাদের কারো লাশ পাওয়া গেছে, নদীর ধারে, কারোটা খালের ধারে আবার কারোটা আবর্জনার মধ্যে।

তিনি আরও বলেন , শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা ছিলেন এটা সত্য।  তবে তিনি যুদ্ধের পরে দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছে, সব রাজনৈতিক দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার পিতার পথেই হেঁটেছেন। তিনি তার বাপের বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন। এত অপরাধ করেও শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে টিকতে পারলেন না। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।  এসময় তিনি শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকেরও কঠোর  সমালোচনা করেন। 

জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কন্ঠশিল্পি বেবী নাজনীন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন গিয়াস, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম বেপারী,ঢাকা জেলা দক্ষিন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিরব,  দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেছের ,সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সেন্টু ভূঁইয়া সহ আরো অনেকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *