ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর কুতুবপুর ডাকাতির ঘটনার ৭ দিন পর ৫ ডাকাতকে আট করেছে দোহার থানা পুলিশ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে কুতুবপুরের মো. নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ২০/২৫ জনের ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাত দল স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে তাঁদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে ওই এলাকার ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিলুর ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে দোহার থানায় ডকাতি মামলা করেছিলো। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালায়।
বুধবার বেলা আড়াইটায় দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডাকাতির ঘটনার সময় জনতার হাতে আটক সাহেব আলী মোল্লার দেয়া তথ্য মতে পুলিশের একটি চৌকশ দল বুধবার ভোরে দোহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো দোহারের কুলছড়ি এলাকার দাদন চোকদারের ছেলে রাকিব চোকদার(২৩), রাধানগরের শেখ লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া(৩৪), একই এলাকার শুকুর বেপারীর ছেলে হালিম বেপারী(৪৫), ইসমাইল বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী(৪৫), আলম বাজারের সোনা মিয়ার ছেলে নাজির হোসেন(৩৫)। এরা পেশাদার ডাকাত বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাদের নামে দোহারে একাধিক মামলা রয়েছে।
দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা পদ্মা নদীর পাড়ের এলাকায় ট্রলার যোগে গিয়ে ডাকাতি করে। ৫ জন আটক হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারর চেষ্টা চলছে।