রাতের আঁধারে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অপরাধে গোপনে কৌশলী অভিযান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম। বুধবার দুপুর ১২ টায় তিনি পুলিশকে না জানিয়ে তাঁর অফিসের আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটার সময় হাতেনাতে ৫ জনকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাঁদেরকে আটক করেন। উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের গোবিন্দুপর চক থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত তাঁদেরকে সাজা ও অর্থদন্ড করেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানায়, অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় আটক ৫ জনের ৩ ব্যক্তিকে ৩ মাস করে কারাদন্ড এবং সহযোগিতার দায়ে দুই ব্যক্তিকে ৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা ইসলাম ।
ভ্রাম্যমান আদালত মাটি কাটার দায়ে মো. মিণ্টু (২৬), সোবহান (৫২), মো. আসাদ(৪৫) কে তিন মাস করে সাজা প্রদান করেন। এছাড়া রাজিব হোসেন(৩২) ও আবিদ হোসেন(২৫)কে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমিতে রাতের আঁধারে অবাধে মাটি কাটছে একটি চক্র। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাটি উত্তোলনের সাথে কোনো আপোষ নেই। প্রশাসনের কেউ এর সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।